মানুষ বড়ই স্বার্থপর! স্বার্থপর মানুষ চেনার উপায়!

মানুষ বড়ই স্বার্থপর! স্বার্থপর মানুষ চেনার উপায়!

 

কিছু কিছু মানুষ সরলতা আর বিশ্বাস এর সুযোগ নিয়ে ঠকিয়ে যায়। আবার কিছু মানুষ বন্ধুর মুখোশ পরে আপনার পেছনে বাঁশ দিতে ব্যস্ত থাকে। আর যাকে বেশি বিশ্বাস করবেন সে হয়তো আপনার জন্য সবচেয়ে বড় বাঁশটা নিয়ে বসে থাকবে। এই পৃথিবীতে কাউকে বিশ্বাস করা আর ভালোবাসাটা সবচেয়ে বড় বোকামি। আপনি কখনো কাউকে আপনার দূর্বলতার কথা বলবেন না। কারণ যদি বলেন তাহলে সে আপনাকে নিয়ে নিকৃষ্ট উপহাস খেলায় মেতে উঠবে।

মানুষ বড়ই স্বার্থপর

মানুষ বড়ই স্বার্থপর প্রাণী। ’আপন থেকে পর ভালো, পরের চেয়ে জঙ্গল ভালো’ গ্রাম-বাংলায় বহুল প্রচলিত একটি প্রবাদ। এই পৃথিবী একটি মঞ্চ। সেখানে প্রতিনিয়ত আমরা বিভিন্ন মানুষের দেখা পেয়ে থাকি। এদের মধ্যে কেউ দেবদূত সদৃশ। আবার কেউ খুবই স্বার্থপর। একেক মানুষের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য একেক রকমের হয়ে থাকে। আপনার সাথে এমনভাবে আচরণ করবে যে আপনার কতই না সে আপনজন। অথচ সেই মানুষেই একটু মনোমালিন্য হলে মনে আঘাত দিয়ে কথা বলবে। তাই মানুষ চেনা সবচেয়ে কঠিন।

স্বার্থপর মানুষ চেনার উপায়

স্বার্থপর মানুষেরা নিজের দিকটাই বড় করে দেখেন। অন্যের স্বার্থ তার কাছে তুচ্ছ। এরাই সমাজে স্বার্থপর হিসেবে চিহ্নিত। একটা সম্পর্কে যখন স্বার্থপরতা ঢুকে যায় তখন সেই সম্পর্ক বেশি দিন টেকে না। স্বার্থপরতা দূরত্ব বাড়ায়। দীর্ঘদিন সম্পর্কে থাকতে গেলে একে অপরের প্রতি ভালোবাসার অনুভূতি থাকতে হবে। সেই ভালোবাসার উপর দাঁড়িয়েই মানুষের সম্পর্ক এগিয়ে যেতে পারে। অবশ্য কিছু মানুষ এই বিষয়গুলো থেকে দূরে থাকেন। তাদের কাছে অন্যকে ভালোবাসার তুলনায় নিজের প্রতি অনুরাগ থাকে বেশি। এই মানুষগুলো থেকে আপনাকে অবশ্যই কিছুটা দূরত্ব রাখতে হবে। তবে মুশকিল এই মানুষগুলো চেনা নিয়ে। চিন্তার কোনো কারণ নেই। খুব সহজে এই মানুষগুলি চিনে ফেলা সম্ভব। নিচে স্বার্থপর সঙ্গী চেনার উপায় বিস্তারিত আলোচনা করা হলো-

অহংকারী

স্বার্থপর মানুষ সব সময় নিজেদের শ্রেষ্ঠ মনে করে থাকে। তারা নিজেদেরকে অন্যদের তুলনায় বেশি যোগ্য বলে মনে করে। এছাড়া অহংকারী স্বার্থপর লোকের আচার-ব্যবহার, কর্মকান্ড ইত্যাদি ভয় কিংবা ক্রাস সৃষ্টি করে। যার ফলে অন্যদের অধিকার পদপিষ্ট করে থাকে। মঙ্গল ও কল্যাণ অনুভবের পথে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়। মোট কথা এরা নিজেদের নিয়ে বেশি অহংকার করে থাকে। তারা যে কোনো বিষয়ে অহংকার দেখিয়ে থাকে।

প্রয়োজনে ব্যবহার করা

মূলত নিজের সুবিধার জন্য অন্য কারো ক্ষতি করা এটাই আসলে স্বার্থপরতা। আমাদের সমাজে এমন কিছু স্বার্থপর শ্রেণীর মানুষ রয়েছে যাদের নিকট আপনার প্রয়োজনীয়তা তখনই অনুভূত হবে যখন কিনা আপনাকে তার প্রয়োজন হবে। তখন আপনার প্রাধান্য তাদের কাছে সবথেকে বেশি বলে বিবেচিত হবে। তখন তারা আপনার সাথে এমনভাবে আচার-ব্যবহার ও মেশার চেষ্টা করবে যেটি দেখে আপনার মনে হবে তাদের নিকট আপনি সব। ওই সময়ে আপনি যা বলবেন তারা সেটিই করবে। তারা এটি করে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করার জন্য। তাদের প্রয়োজন শেষ হয়ে গেলে তারা আপনাকে মনে করা তো দূরের কথা আপনাকে চিনতেও পারবে না। এদের কাছে আপনার প্রয়োজন সীমিত সময়ের জন্য। তাই আপনার মূল্যবান সময় তাদের পিছনে নষ্ট না করাটাই ভালো।

বিপদে পাশে থাকা

স্বার্থপর মানুষ চেনার উপায়গুলোর মধ্যে বিপদে যে মানুষকে পাশে পাওয়া যায় সেই প্রকৃত অর্থে ভালো মানুষ। যে মানুষগুলোকে আপনার বিপদের সময় পাশে দাঁড়ায় সে মানুষগুলোই ভালো প্রকৃতির হয়। স্বার্থপর মানুষগুলো আপনার বিপদে পাশে থাকার অভিনয় করবে। আর নিঃস্বার্থ মানুষগুলো আপনাদের বিপদের দিনে পাশে থাকবে। আপনি যদি স্বার্থপর মানুষকে চিনতে চান তাহলে আপনার খারাপ সময়ের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।

অন্যের সম্পর্কে ভাবে না

একজন স্বার্থপর মানুষ অন্যের অনুভূতি জানার চেষ্টা করে না। বিপদ মানুষের নিত্যদিনের সঙ্গী। সবার জীবনে বিপদ আসে আবার চলে যায়। তাই কথিত আছে বিপদে পড়লে মানুষ চেনা যায়। বর্তমান সময়ে অনেক মানুষ আছে যারা নিজের কথা চিন্তা করে অন্যের সম্পর্কে ভাবে না। কেউ বিপদে পড়লে নিজে খুশি হয় এবং তাকে নিয়ে অন্যের মাঝে সমালোচনা করে। আবার সেই ব্যক্তির কাছেই ভালো সাজার চেষ্টা করে। সে এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে যা শুধুমাত্র তারই নিজের উপকারে আসে।

হিংসাপরায়ন

মানুষ জন্মগত ভাবেই হিংসাপরায়ন এবং স্বার্থপর। মানুষ বড়ই হিংসাপরায়ন হয়ে গেছে। ক্ষমতার লোভ মানুষকে আচ্ছন্ন করে রেখেছে। এই মানুষগুলো সাধারণত অন্যের প্রাপ্তিগুলো যখন দেখে তখন তা নিজের জন্য আশা করে থাকে। তবে সেটা অনুপ্রেরণার দৃষ্টিতে নয়। তারা সেটি আশা করে থাকে হিংসা দৃষ্টিতে। তারা সব সময় নিজের জীবনকে অন্যের সঙ্গে তুলনা করে। অন্যের কি আছে যা আমার নেই এই সিংসায় তারা নিমজ্জিত থাকে। অহংকার, হিংসাপরায়ন ও দাম্ভীকতা মানুষকে ধ্বংসের পথেই নিয়ে যায় শান্তির পথে নয়।

FAQS-

মানুষ কেন স্বার্থপর হয়?

#শিশুরা স্বভাবতই লোভী। তেমনি মানুষ স্বভাবতই স্বার্থপর হয়।

স্বার্থপর মানুষ চেনার উপায় কি?

#স্বার্থপর মানুষ চেনা খুবই কষ্টসাধ্য। আমি অনেকদিন চেষ্টা করে কিছু উপায় উপায় শিখেছি। সেই উপায়গুলি আপনাকে বলবো কেনো? আমি এতোদিন ধরে যেটা শিখেছি সেটা আমি এমনিতেই এতো তাড়াতাড়ি শিখে ফেলবেন। না সেটা হতে পারে না।

হ্যাঁ, এটাই স্বার্থপরতা।

 শেষ কথা

মানুষ বড়ই স্বার্থপর। এই কথাটি বুঝিয়ে বলার অপেক্ষা রাখে না। অনেকে এই মানুষকে বলে থাকে বিষধর সাপকে বিশ্বাস করা যায় কিন্তু এই মানুষকে বিশ্বাস করা যায় না। অথচ এই মানুষ নাকি সৃষ্টি জগতের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ প্রাণী। ইসলাম ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে মানুষ আশরাফুল মাখলুকাত। আপনার আশেপাশে এমন অনেক মানুষ আছে যাদের মুখে মধু কিন্তু অন্তরে বিষ। তাই এই সমস্ত মানুষদের কাছ থেকে সব সময় দূরে থাকার চেষ্টা করবেন। পৃথিবীতে মানুষ যত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তার বেশির ভাগই আপন লোক দিয়েই হয়েছে। 

ভালোবাসা কাকে বলে? ভালোবাসার ক্ষেত্রে করণীয় # প্রেম আর স্বপ্ন! মানুষ বড় হয় তার স্বপ্নের সমান

Related posts

2 Thoughts to “মানুষ বড়ই স্বার্থপর! স্বার্থপর মানুষ চেনার উপায়!”

  1. […] # ভালোবাসা কাকে বলে? # মানুষ বড়ই স্বার্থপর! […]

Leave a Comment