ভালোবাসার মানুষ অবহেলা করলে কি করা উচিত? জেনে নিন দারুণ উপায়সমূহ! 

ভালোবাসার মানুষ অবহেলা করলে কি করা উচিত? জেনে নিন দারুণ উপায়সমূহ! 

 

ভালোবাসার মানুষের সবকিছু সহ্য করা যায়। কিন্তু তার অবহেলা সহ্য করা যায় না। আপনি যাকে ভালোবাসেন কখনোই তার অবহেলার পাত্র হতে আপনার ভালো লাগবে না। শত ব্যস্ততার মাঝেও মনে ভেতরে সব সময় কোথায় যেনো থাকে একটা আঁকুতি, একটা ভয়। এই ভয়টা কিসের? হারানোর নাকি চিরতরে প্রিয় মানুষটির মন থেকে হারিয়ে যাওয়ার। এমন অবস্থায় অনেকে ভুগে থাকেন দুশ্চিন্তা ও মানসিক যন্ত্রণায়। কি করা উচিত সে বিষয়ে বিভ্রান্তিতে ভোগেন অনেকেই। কিন্তু এই সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসতে হবে আপনাকেই।

ভালোবাসার মানুষ অবহেলা করলে কি করা উচিত?

সত্যিকারের ভালোবাসার মানুষকে কি কখনো ভুলে থাকা যায়? প্রেমে প্রতারিত হওয়ার পর মন ভেঙে গেলে এই প্রশ্নটি সবার মাথায় ঘোরপাক খায়। কিভাবে সঙ্গীহীন জীবন কাঁটাবেন তা ভেবে কপালে ভাঁজ পড়ে যায়। তবে আপনাকে যদি কেউ সত্যিকারের ভালোবাসে তাহলে আপনার সাথে অবহেলা করবে না। 

আর জীবনকে কতো কষ্ট দিবেন। এবার একটু নিজেকে সামলানোর চেষ্টা করুন। অনেক কিছু আপনার জীবনে যা এই সবকিছু চেয়ে অনেক বড়। মনে রাখবেন আপনি যখন কাউকে সময় দেন তখন আপনি তাকে জীবনের ওই অংশটি দিচ্ছেন যা আপনি আর কখনোই ফিরে পাবেন না। চলে যাওয়া সময় আপনি আর কখনো ফিরে পাবেন না। জীবন অনেক মূল্যবান। অনেক সুন্দর। তাই এটাকে কেউ এভাবে নষ্ট করবেন না। যদি আপনি ও এই রকম পরিস্থিতির মোকাবেলা করছেন বা লড়াই করছেন তাহলে অবশ্যই কিছু উপায় রয়েছে যা আপনার করা উচিত। 

একে অপরের উপর বিশ্বাস রাখার চেষ্টা করুন

এই জাতীয় ঘটনা ঘটলে অনেকের ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, কোনো একটি ছোট ঘটনা বা ভুল ঘটেছে যা আপনাদের একে অপরের প্রতি অবিশ্বাসের সৃষ্টি হয়। যদি অবিশ্বাসের থেকে অবহেলা আসে তাহলে তা ক্ষণস্থায়ী হবে। নিজেদের মধ্যে কোনো অবিশ্বাস রাখবেন না। ভালোবাসার মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করুন। এক্ষেত্রে আপনার খুব কাছের বিশ্বস্ত বন্ধুর সাহায্য নিতে পারেন।

নিজেদের মধ্যে যে অবিশ্বাস করেছে তা কাটিয়ে নিন। এই সময় অনেকে অন্তরে ইগো চলে আসে। কিন্তু ভালোবাসায় কোনো ইগো আনবেন না। ইগো মানুষকে ধীরে ধীরে একে অপরের থেকে দূরে সরিয়ে দেয়। তখন একে অপরের প্রতি ভালোবাসা থাকলেও অনুভূতি থাকবে না। তাই সম্পর্কের মাঝে যদি ইগো এসে থাকে তাহলে তা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করুন। 

নিজেকে জানার চেষ্টা করুন

কেউ যখন আপনাকে অবজ্ঞা বা অবহেলা করবে তখন নিজেকে জানার চেষ্টা করুন যে আপনার মাঝে কোনো ত্রুটি আছে কিনা। সব সময় নিজের দোষটা আগে খোঁজার চেষ্টা করুন। আপনি নিজেই হয়তোবা ভুল করছেন তাই মানুষ আপনাকে অবহেলা করে থাকে। তাই নিজেকে আগে জানার চেষ্টা করুন। নিজের দোষ বা ভুল আছে কিনা দেখুন। কোনো রকম ভুল বা দোষ ছাড়া ও যদি কেউ আপনাকে অবহেলা করে তাহলে কারণটি খুঁজে বের করুন। যে অবহেলা করছে তাকে বোঝান আপনিও নিজে বোঝার চেষ্টা করুন। 

নিজেকে ছোট ভাববেন না

সে যদি বার বার আপনার ম্যাসেজের উত্তর না দেয় কিংবা কল ব্লক করে দেয় এবং নিজের মান-সম্মান নষ্ট করে দেয় তাহলে তাকে বন্ধুদের দিয়ে অনুরোধ করাতে যাবেন না বা জানতে যাবেন না যে কেনো সে আপনাকে অবহেলা করছে। সে হয়তো আপনাকে আর আগের মতো ভালোবাসতে পারছে না। এই কঠিন সত্যটা মেনে নিতে শিখুন। আপনি যদি নিজেকে সম্মান না দিয়ে থাকেন তাহলে কেউ আপনাকে সম্মান দিবে না।

তাই নিজেকে সম্মান দিতে শিখুন। তাহলে মানুষ আপনাকে সম্মান দেবে। আপনার জীবনের দীর্ঘ সফরে আপনার সঙ্গে কতো লোক যে সঙ্গী হবে আর কতো লোক যে ছেড়ে চলে যাবে এই নিয়ে ভাববেন না। নিজেকে কোনো সময় ছোট করে ভাববেন না। জীবনকে উপভোগ করতে শিখুন। জীবনের প্রতিটি মুহূর্তকে উপভোগ করার চেষ্টা করুন। 

জীবনে তৃতীয় ব্যক্তির প্রবেশ বন্ধ করুন

অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় একটি সম্পর্ক ভেঙে যায় তৃতীয় কোনো ব্যক্তি প্রবেশের মাধ্যমে। সব মানুষ আপনার ভালো বা সুখ সহ্য করতে পারে না। কেউ কেউ আছে যারা বাইরে আপনার খুব কাছের মানুষ সাজানোর চেষ্টা করে থাকে যেনো তারা আপনার কতো ভালো চায়, আপনার সুখে কতো আনন্দ। কিন্তু তারা মনে মনে তখন তারা চিন্তা করবে কি করে আপনার ক্ষতি করা যায়।

আপনার ভালোবাসার মানুষ আপনাকে পাত্তা দিচ্ছে না এই তথ্য তাদের দিলে তারা আপনার দুর্বলতার সুযোগ নিবে, আপনাকে ভুল বোঝাবে, তার সম্পর্কে আপনাকে খারাপ কথা বলতে পারে। আপনার এই পরিস্থিতিতে আপনার পাশে থেকে কতো উপকার করছে এই মনোভাব আপনার মনে সৃষ্টি করবে। তাই তৃতীয় ব্যক্তির প্রবেশ না রাখাই ভালো। মনে রাখবেন সমস্যা আপনার এবং এর সমাধান আপনাকেই করতে হবে। সাহায্যকারী কেবল আপনাকে সমস্যা সমাধানের পথ বলে দিতে পারে। আপনার হয়ে সমস্যার সমাধান করে দিবে না। 

বিশ্বস্ত বন্ধুর কাছে নিজের দু:খ শেয়ার করতে পারেন

দু:খের কথা ভাগ করে নিলে দু:খ কমে না। কিন্তু এর প্রভাব অনেকটা কমে। তাই দু:খের কথা সেই সমস্ত মানুষের কাছে বলা উচিত যারা আপনার দু:খের কথা শুনে হাসি-মজা-ঠাট্টা করবে না। দু:খের দিনে আপনার পাশে এসে দাঁড়াবে। আপনাকে সাহস যোগাবে। আপনাকে বেঁচে থাকার মতো মনোবল বৃদ্ধি করবে। একটি প্রবাদ আছে, “দু:খের দিনেই প্রকৃত বন্ধু চেনা যায়”। তাই আপনার কষ্ট আপনার বিশ্বস্ত কোনো বন্ধুর কাছে শেয়ার করুন। সেই আপনার সারা জীবনের দু:খ কষ্ট সমান ভাবে ভাগ করে নিতে পারে। অথবা তার মাধ্যমেই আপনাদের ভেঙে যাওয়া সম্পর্কটা আবার জোড়া লেগে গেলো। 

FAQS-

# কাছের মানুষ কষ্ট দিলে কি করা উচিত?

=>একটি সমঝোতামূলক মনোভাব প্রত্যেকের পক্ষে প্রতিকূল, প্রতিরক্ষামূলক মনোভাব মোকাবেলা করা অনেক সহজ। ভালবাসা এবং গ্রহণযোগ্যতার মনোভাব বজায় রাখার অভ্যাস করুন। এর অর্থ এই নয় যে ব্যক্তি আপনাকে আঘাত করেছে বা সে যা করেছে তার সাথে আপনি একমত।

# সঙ্গীকে অবহেলা করলে কি করা উচিত?

=>একজন মহিলা যখন সম্পর্কের ক্ষেত্রে অবহেলিত বোধ করেন তখন তার মনে হতে পারে যেন সে গুরুত্বপূর্ণ নয় ।  তিনি একাকী বোধ করতে শুরু করতে পারেন যেন তার কাছে যাওয়ার মতো কেউ নেই। কারণ তার সঙ্গী আবেগগতভাবে অনুপলব্ধ।

# ভালোবাসার মানুষটি অবহেলা করলে কি করে সহ্য করবো?

=>ভালোবাসার মানুষ অবহেলা করলে ধৈর্য্য ধারণ করার মাধ্যমে সহ্য করতে হবে।

শেষ কথা

জীবন হচ্ছে একটা সংগ্রামী পথ। এখানে পর্যায়ক্রমে আপনার আপনার কাছে কতো কিছুই আসবে তার জন্য আপনাকে সর্বদা প্রস্তুত থাকতে হবে। জীবনে চলার পথে সঠিক বন্ধু নির্বাচন করা অনেক জরুরী। আর তা না হলে আপনি পদে পদে বাঁধাগ্রস্ত হবেন। যে সকল বন্ধু আপনাকে অবহেলা করে তাদের থেকে দূরে থাকাই আপনার জীবনের জন্য ভালো হবে। তাই আপনি ভালো বন্ধু খুঁজুন। যে আপনার বিপদে আপদে আপনাকে বিভিন্ন ভাবে সাহায্য করবে। জীবনে চলার পথে আপনার কতো বন্ধু হবে। তাই যে সকল বন্ধু আপনাকে অবহেলা করবে তাদের থেকে চিরকালের জন্য দূরে থাকুন। আর এটাই আপনার জন্য মঙ্গল হবে। 

# রিয়েল ভালোবাসা কাকে বলে? ভালোবাসার ক্ষেত্রে করণীয় # ভালোবাসা কি? সত্যিকারের ভালোবাসা চেনার উপায়

Related posts

Leave a Comment