ইহুদি জাতির ইতিহাস! ইহুদি শব্দের অর্থ কি?

ইহুদি জাতির ইতিহাস! ইহুদি শব্দের অর্থ কি?

 

ইতিহাসে একটি দুর্ধর্ষ জাতি ইহুদি, প্রাকঐতিহাসিক যুগ হতে এরা বেশ বেপরোয়া ও হিংস্র প্রকৃতির। অত্যাচার,আক্রমন,জিঘাংসা ও অন্য ধর্মের প্রতি ক্ষোভ আদিকাল হতেই এদের মনে বিরাজ করে আসছে। বিশ্বের বুকে জাতি হিসেবে ইহুদিদের চক্রান্ত, ষড়যন্ত্র ও অপকর্মের ইতিহাস সর্বজনবিদিত। কোরআনে কারিমে তাদের অভিশপ্ত ও লাঞ্ছিত জাতি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। জঘণ্য মনোবৃত্তি ওদের। চড়াসুদখোর ও ধনলিপ্সু জাতি হিসেবেও তাদের একটা পরিচয় রয়েছে। বর্বরএ জাতি যুগ যুগ ধরে খোদাদ্রোহিতা, কুফরি ও তাদের খারাপ কর্মকাণ্ডের জন্য মানুষের কাছে ঘৃণাভরে পরিচিতি পেয়ে এসেছে। তারা অন্যের ওপর দিয়ে যুগে যুগে তাদের নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখেছে।

ইহুদি শব্দের অর্থ কি?

ইহুদি” শব্দটি হিব্রু ভাষা থেকে নেওয়া একটি শব্দ। এটি “জুদাইসম” ধর্মের অনুগামী বা অনুযায়ীদের জন্য ব্যবহৃত হয়। সাধারণভাবে, “ইহুদি” ব্যক্তিগত, সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক সম্পর্কে সদস্যতা নিয়ে উপস্থিতির নির্দেশ করে। এটি যে ধর্মের অনুযায়ীতে সদস্যতা নির্দেশ করে তা উল্লেখ না করে, তবে অধিকাংশই ইসলাম, খ্রিষ্টধর্ম, বা হিব্রু ধর্মের সাথে সম্পর্কিত হয়।

মুসলমানদের শত্রু

মুসলমানদের সবচাইতে বড় দুশমন হচ্ছে ইহুদি সম্প্রদায়। এ সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে বলেছেন, তুমি মুমিনদের বিরুদ্ধে ইহুদি ও মুশরিকদের কঠোরতম দুশমন হিসেবে দেখতে পাবে। (সূরা মায়েদা : ৬৪)। কোরআন মাজিদের বিভিন্ন সূরা ও আয়াতে বনি ইসরাইল তথা ইহুদিদের সম্পর্কে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ বহু আয়াত নাযিল হয়েছে। কোরআনের মোট ১১৪টি সূরার মধ্যে ৫০টিতেই ইহুদিদের সম্পর্কে সরাসরি এবং পরোক্ষ ইশারা-ইঙ্গিতে আলোচনা করা হয়েছে। তাদের সম্পর্কে এত বেশি আলোচনার উদ্দেশ্য হলো, মুসলমানগণ তাদের ব্যাপারে যেন যথেষ্ট সতর্ক থাকে।

ইহুদি জাতি

পৃথিবীর ইতিহাসে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রভাবশালী। ইতিহাসের ভূমিকা অত্যন্ত ব্যাপক এবং বিবিধ। এটি মানবিক সভ্যতার উত্থান, পতন, এবং সাংঘাতিক ঘটনাগুলির মধ্যে অবিচ্ছিন্নভাবে প্রতিফলিত হয়েছে।

ইহুদি জাতির ইতিহাসের আদি অংশ ধরে নেওয়া যায় হেব্রু জাতির ইতিহাস। হেব্রু জাতির মূলবাসী ছিলেন মশুহ খ্যাপ্তানি, এল খ্যাপ্তানি এবং যাকুব খ্যাপ্তানির পরিবারের সদস্যরা। এই সময়ে হিব্রু ধর্ম উত্থান করে, যা প্রাচীন ইহুদি ধর্মের মূলস্থান।

এরপরে, এই জাতির ইতিহাসে বিভিন্ন ধর্মীয়, সামাজিক এবং রাজনৈতিক পরিবর্তন ঘটে। এই অধ্যায়ে সংক্ষেপেই তালিকাভুক্ত করা সম্প্রতির ইহুদি ইতিহাসের উল্লেখযোগ্য ঘটনাগুলির মধ্যে রয়েছে ম্যাকাবি বিপ্লব, যা ম্যাকাবি বাহিনীর দ্বারা সুদূর পূর্ব দক্ষিণ ইহুদি রাজ্যের পুনরুদ্ধার সাধন করে।

এরপরে, হাসমোনিয়ান সাম্রাজ্যের স্থাপনা এবং রোমান সাম্রাজ্যের প্রাপ্তির পর, এই জাতির ইতিহাসে নতুন একটি পর্ব শুরু হয়। এই সময়ে হেব্রু জাতি প্রধানত দুই এবং রোমান প্রভৃতি বিভিন্ন সাম্রাজ্যের অধীনে ছিলেন।

ইতিহাসের এই সংক্ষেপমূলক বিবরণ বেশিরভাগ গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার উল্লেখ করে যা ধার্মিক, সামাজিক এবং রাজনৈতিক পরিবর্তনের উপর প্রভাব ফেলেছে। এই ইতিহাসের ধারাবাহিক অধ্যয়ন আমাদের সাহায্য করে বোঝার চেষ্টা করতে এবং অনুভূতি এবং সংস্কৃতির মূল কারণগুলি বুঝতে।

আজ ইহুদীরা তাদের নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার দ্বিতীয় পর্যায়ে এবং শ্রেষ্ঠত্ব ও আধিপত্যের তুঙ্গে অবস্থান করছে । আমরা বর্তমানে আমাদের ঐশ্বরিক কর্তৃত্ব ও আধিপত্যের সূচানলগ্নে প্রবেশ করেছি এবং আমরা তাদের কুৎসিত চেহারা উন্মোচন করার পর্যায়ে রয়েছি ঐ সময় যখন মহান আল্লাহ্ আমাদেরকে তাদের বিরুদ্ধে বিজয়ী করবেন । যেমনভাবে আমাদের পূর্বপুরুষরা প্রথমবার মসজিদুল আকসায় প্রবেশ করে পৃথিবীতে তাদের গর্ব ও শ্রেষ্ঠত্বের ধারাকে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দিয়েছিলেন ঠিক তেমনি আমরা ইমাম মাহ্দী (আ.)-এর আবির্ভাবের আগে অথবা তাঁর সাথে মসজিদুল আকসায় প্রবেশ করব এবং তাদের আধিপত্য, গর্ব ও শ্রেষ্ঠত্বকামিতার ধ্বংস সাধন করব ।

তবে ‘যদি তোমরা প্রত্যাবর্তন ও তওবা কর তাহলে আমরাও প্রত্যাবর্তন করব, আর আমরা জাহান্নামকে কাফিরদের জন্য কারাগাররূপে নির্ধারণ করেছি’- মহান আল্লাহর এ বাণী থেকে প্রতীয়মান হয় যে, ইসরাইল ধ্বংস হওয়ার পর অনেক ইহুদী পৃথিবীতে থেকে যাবে । যারা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করবে না ইমাম মাহ্দী (আ.) তাদেরকে আরব দেশসমূহ থেকে বহিষ্কার করবেন । রেওয়ায়েত অনুসারে তারা আবার নাশকতামূলক কাজে লিপ্ত হবে । আর তা হবে এক চোখ বিশিষ্ট দাজ্জালের ফিতনা চলাকালে । ইমাম মাহ্দী (আ.) এবং মুসলমানরা এ সব ফিতনা সৃষ্টিকারীদের চূড়ান্তভাবে ধ্বংস করবেন এবং মহান আল্লাহ্ তাদের মধ্য থেকে যারা নিহত হবে তাদের জন্য জাহান্নামকে কারাগার করে দেবেন এবং মুসলমানরা তাদের অবশিষ্টদেরকে কারাগারে অন্তরীণ করে তাদের নাশকতামূলক কর্মতৎপরতা ও ফিতনা চিরতরে বন্ধ করে দেবে ।

শেষ কথা

আমি আপনার সাথে  ইসলামিক ইতিহাস সম্পর্কে আলোচনা করার জন্য অত্যন্ত আনন্দিত ছিলাম। যদিও এই বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তৃত আলোচনা করা অসম্ভব কমপ্লিট, কিন্তু আমি আশা করি আমাদের আলোচনা আপনার জন্য উপকারী হয়েছিল। আমি আগামীতে আপনার সাথে আরও বিষয়ে আলোচনা করতে আশা করি। ধন্যবাদ।

# কোরবানি কি? কোরবানির গুরুত্ব ও ফজিলত # কিয়ামত কি? কিয়ামতের আলামত সমূহ

Related posts

Leave a Comment