ভালোবাসা কাকে বলে? ভালোবাসার ক্ষেত্রে করণীয়

রিয়েল ভালোবাসা কাকে বলে? ভালোবাসার ক্ষেত্রে করণীয়

 

ভালোবাসা শব্দটি খুবই অদ্ভত একটি শব্দ। এই পৃথিবীতে ভালোবাসার জন্য অনেক কিছুই সৃষ্টি হয়েছে। আমি তোমাকে ভালোবাসি তার মানে আমি তোমার জন্য অস্থির হয়ে থাকি। একজন মানুষ সবার জন্য অস্থির হয় না। বিশেষ একজন মানুষের জন্যই আমরা অস্থির হই। বর্তমান প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা ভালোবাসা কি তা বুঝে না? এরা সকালে রিলেশন করে এবং বিকেল বেলায় ব্রেকআপ করে। তাই এই প্রজন্মের ছেলে-মেয়েরা আসলে বুঝেই না আসলে ভালোবাসা কি? তাদের মতে ভালোবাসা হলো এক সাথে ঘোরাঘুরি করা।

পার্কে বসে গার্লফ্রেন্ডের গায়ে হাত বুলানো। এক সাথে বসে নাস্তা করার সময় টেবিলের নীচে পায়ে পা ঘষাঘসি করা ইত্যাদি। আসলে এগুলো ভালোবাসা নয়। এগুলো হলো বর্তমান সময়ের নোংড়ামী। ভালোবাসা হচ্ছে একটি পবিত্র বিষয়। বর্তমান সময়ে সত্যিকারের ভালোবাসা খুঁজে পাওয়া যায় না। তাই এই যুগে প্রেম-ভালোবাসা করা ঠিক নয়। এই যুগে প্রেম-ভালোবাসা করলে দীর্ঘস্থায়ী হয় না। এরা একবার মেয়েটার শরীর ভোগ করার পর ভালোবাসা হারিয়ে যায়। 

ভালোবাসার ক্ষেত্রে যা করণীয়

যারা প্রেম বা ভালোবাসা করে তাদের বেশির ভাগ ছেলে-মেয়েই হয় অসৎ। ভালোবাসার নাম নিয়ে তারা মেয়েটাকে বিছানায় নিয়ে শরীর ভোগ করে। নিজের শখ পূরণ করে। নিজের সখ পূরণ হয়ে গেলে মেয়েটার সাথে ঝগড়া করে সম্পর্ক ছিন্ন করে ফেলে। এই যুগের মেয়েগুলো হয় খুবই বোকা। তারা ছেলেদের ফাঁদে পা দেয়। তাদেরকে বুঝিয়ে বললেও তারা বুঝে না। মেয়েরা বলে না না সে খুব ভালো ছেলে। সে আমার সাথে এরকম কখনোই করতে পারে না।

আসলে ছেলেরা একটা মুখোশ পড়ে থাকে বলে মেয়েরা তাদের চিনতে পারে না। ভালোবাসার নাম দিয়ে ছেলেরা আসলে মেয়েদের প্রতারনা করে। এটা যুগ যুগ ধরেই হয়ে আসছে। তাই মেয়েদের এখনই সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। একজন ভালো মানুষের সাথে সম্পর্ক করতে হবে। যদি ভালো মানুষ খুঁজে না তাহলে সম্পর্ক করার কোনো প্রয়োজন নেই। খারাপ মানুষের সাথে সম্পর্ক করার চেয়ে নিজে একা থাকা অনেক ভালো। 

ভালোবাসা কখন প্রকাশ পায়

বিয়ের আগে ছেলে-মেয়েরা যেটা করে সেটা কিছুতেই ভালোবাসা হতে পারে না। আসল ভালোবাসা প্রকাশ পায় বিয়ের পর। ভালোবাসা মানে দায়িত্ব পালন করা। পরিবারের স্ত্রী, সন্তান, ভাই-বোন, বাবা-মা সবার প্রতি সুন্দর করে দায়িত্ব পাল করাটাই আসল ভালোবাসা। কিন্তু এই যুগের ছেলে-মেয়েরা কথায় কথায় বলে আমি তোমাকে ভালোবাসি। আপনি যাকে ভালোবাসেন তাকে বার বার মুখে বলার দরকার নেই। ভালোবাসা মুখে বলার বিষয় নয়। ভালোবাসা অনুভব করার বিষয়।

আপনি তাকে মুখে না বলে কাজের মাধ্যমে তাকে প্রতিনিয়ত অনুভব করাতে পারেন যে তাকে আপনি কতটা ভালোবাসেন। তাহলে এটাই হলো আসল ভালোবাসা। বুদ্ধিমান লোকেরা মুখ দিয়ে বলে না আমি তোমাকে ভালোবাসি। প্রেম ভালোবাসা করার ক্ষেত্রে মেয়েরা বেশি খরা খায়। তারপর তারা সারা জীবন ধরে কাঁদে। ভূল মানুষকে ভালোবাসার খেসারত দিতে হয় সারাটি জীবন ধরে। 

ভালোবাসা বলতে কি বুঝি

ভালোবাসা মানে হচ্ছে যাকে ভালোবাসো তার জন্য কিছু করো। তাকে আনন্দ দাও। পৃথিবীর সমস্ত ধুলা-ময়লা থেকে তাকে আগলে রাখো। পৃথিবীর কোনো মন্দ কিছু জিনিস যেনো তাকে স্পর্শ না করে। ভালোবাসার যত্ন নিতে হয়। ভালোবাসাকে খুব ভালো ভাবে সাজাতে হয়। যাকে ভালোবাসেন তার হাত ধরে বলুন তোমার কোনো ভয় নেই আমি তোমার সাথে আছি। তোমার জীবনে যতো দু:খ-কষ্ট আসুক আমি তোমার হাতটি ধরে থাকবো। মানুষের জীবনের সবচেয়ে বড় অস্ত্রই হচ্ছে ভালোবাসা

আপনার শত্রুকে যদি আপনি ভালোবেসে যান তাহলে একদিন সে আপনার কাছে মাথা নত করতে বাধ্য হবে। আজকাল দুনিয়াটা হয়ে গেছে স্বার্থপর। স্বার্থ ছাড়া মানুষ এক পা সামনে বাড়াতে চায় না। সত্যিকারের ভালোবাসায় স্বার্থের কোনো স্থান নেই। সে আপনাকে নি:শ্বার্থ ভাবে ভালোবাসে। জীবনে সত্যিকারের ভালোবাসা না পেলে জীবন শুকিয়ে যায়। জীবন আনন্দহীন হয়ে যায়। মানুষ যেনো আপনাকে ভালোবাসে। এজন্য আপনাকে যোগ্য হয়ে উঠতে হবে।

 ভালোবাসাটা একেক জন মানুষের কাছে একেক রকম হয়ে থাকে। কারো কাছে ভালোবাসার মানে মেয়েটাকে নিয়ে নানান জায়গায় ঘুরে বেড়ানো। কারো কাছে ভালোবাসা মানে শরীর। কারো কাছে ভালোবাসার মানে টাকা। আবার কারো কাছে ভালোবাসা মানে ধনী মেয়ে বিয়ে করে অনেক সম্পত্তি বা যৌতুক। সত্যিকার অর্থে এগুলো একটাও ভালোবাসা নয়।

সত্যিকারের ভালোবাসা জানে না এই সময়ের বেশির ভাগ ছেলে-মেয়েরাই। রাত জেগে ফোনে কথা বলা বা সারা রাত জেগে চ্যাটিং করার নাম ভালোবাসা নয়। ভালোবাসার আরেক নাম দায়িত্ব পালন করা। বিয়ের আগে আমরা যেটা ভালোবাসি সেটা আসলে ভালোবাসা নয়। কারণ যেখানে কোনো দায়িত্ব নেই সেটা আবার কিসের ভালোবাসা? আসল ভালোবাসা বুঝা যায় বিয়ের পর। বিয়ের পর যারা প্রতিটা দায়িত্ব সুন্দর ভাবে পালন করে তারাই আসল পুরুষ এবং আসল ভালোবাসা। 

FAQS-

#ভালোবাসা কি?

=>সাধারণত একজন মানুষের উপর অন্য আরেকজন মানুষের মায়া বা টান অনুভব করলে করলে তাকে ভালোবাসা বলে।

#ভালোবাসার কত প্রকার?

=>গ্রীক ভাষায় চারটি ভিন্ন ধরনের প্রেমকে আলাদা করে। সেগুলো হলো ফিলিয়া, ইরোস, স্টার্জ এবং আগাপে। তাদের সকলেই বিভিন্ন ধরণের প্রেমের একটি সুন্দর বর্ণনা রয়েছে। প্রতিটিকে বোঝা তাদের সম্পর্ক উন্নত করতে সাহায্য করার একটি নিশ্চিত উপায়।

#প্রেমের প্রকারভেদগুলো কি কি?

=>ডি. গবেষণা দুটি প্রধান প্রকারের আন্তঃব্যক্তিক প্রেমকে সংজ্ঞায়িত করেছে। আবেগপ্রবণ প্রেম (যাকে আমরা রোমান্টিক প্রেম বলে মনে করি, আকর্ষণ এবং যৌন ইচ্ছা জড়িত) এবং সংযুক্তি (সহানুভূতিশীল প্রেম নামেও পরিচিত, যা যত্নশীল এবং শিশুদের মধ্যে হতে পারে। দীর্ঘমেয়াদী রোমান্টিক অংশীদার এবং অন্যান্য গভীরভাবে সম্পৃক্ত।

শেষ কথা

সুতরাং আমরা এই আলোচনার মাধ্যমে বুঝতে পারলাম ভালোবাসার মানে কি? ভালোবাসা কাকে বলে? ভালোবাসা করার ক্ষেত্রে আমরা অবশ্যই সতর্ক থাকবো। কারণ বর্তমান যুগে সত্যিকারের ভালোবাসা খুঁজে পাওয়া খুব কঠিন হয়ে গেছে। সত্যিকারের ভালোবাসা খুঁজে না পেলে সারাটি জীবন তার খেসারত দিতে হয়। খারাপ মানুষের সাথে সম্পর্ক করার চেয়ে আপনি একা থাকবেন। খানিক সুখের আশায় খারাপ মানুষের সাথে সম্পর্ক করবেন না। এতে সারাটি জীবন কাঁদতে হবে। তাই ভালোবাসতে গেলে চিন্তা ভাবনা করে ভালোবাসবেন তাহলে আপনার জীবন হয়ে উঠবে সুখী, সুন্দর এবং আনন্দময়।

# মানুষ বড়ই স্বার্থপর! স্বার্থপর মানুষ চেনার উপায়! # জীবনে কাউকে আঘাত করার আগে একটু ভেবে নিবেন। মনে কষ্ট বা আঘাত পেলে কি করবেন?

Related posts

2 Thoughts to “ভালোবাসা কাকে বলে? ভালোবাসার ক্ষেত্রে করণীয়”

Leave a Comment